পটিয়ায় রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবদুল খালেকের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা খালেক টানা ৮ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯.৪০ টায় মারা যান। তিনি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল আলমের ২য় সন্তান। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ভাই, স্ত্রী ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল আসরের নামাজের পর আল্লাই কাগজীপাড়া আমান আলী চৌধুরী জামে মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবদুল খালেকের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর রাত ২ টার দিকে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আল্লাই কাগজীপাড়া এলাকায় পুলিশ তার ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায়। এসময় ভয়ে আবদুল খালেক একটি বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন। ওই রাতেই ৪টার পর তাকে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়। এসময় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সেদিন থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে গত বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।
এদিকে তার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশকে দায়ী করে নানা ধরনের পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। তাছাড়া পটিয়া থানা পুলিশ বলছে সেদিন তাদের কোনো টিম এ ধরনের কোনো অভিযানে যায়নি।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা খালেকের মৃত্যু নিয়ে পুলিশকে জড়িয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের কিছু নেই। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ফেসবুকে তার মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। তার পরিবার থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেনি।