অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদের ‘গোপন প্রেম’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, আপনারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের গোপন প্রেমের কারখানা বানাবেন না। গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন এনসিপির এ নেতা। খবর বাংলানিউজের।
এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলছি, নির্বাচনে যেন কোনো দলের প্রতীক নমিনেশন বাণিজ্যের প্রতীক হতে না পারে। বিভিন্ন দল পয়সা দিয়ে অন্য দলকে যেন নিজেদের পকেটস্থ করতে না পারে সে জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে যে বিধান আনা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন যেন সে বিষয়ে স্ট্রিক্ট (অনড়) থাকে। আমরা সেই আহ্বান জানিয়েছি। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে পাটওয়ারী বলেন, আপনারা শুনেছেন সালাউদ্দিন আহমদ আমাদের আইন উপদেষ্টা যিনি রয়েছেন, আসিফ নজরুল স্যারকে একটা চিঠি দিয়েছেন। সেখানে উনাদের গোপন প্রেমের কথা বলেছেন যে– আপনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আপনার আশ্বাস পেয়ে আমি চুপ ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম বিভিন্ন দল জোট করলেও তাদের নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে সংবাদ এসেছে। তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ে যিনি রয়েছেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যারা ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, আপনারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের গোপন প্রেমের কারখানা বানাবেন না। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানাবো, আপনার উপদেষ্টামণ্ডলী যারা রয়েছেন, তারা যদি বিভিন্ন দলের সঙ্গে এ ধরনের গোপন প্রেম করে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে যাত্রা, সেটা ব্যাহত হবে। গণতন্ত্র যাত্রার দিকে আমরা আপনাদের আহ্বান জানাবো সুসংহতভাবে সামনে যাওয়ার জন্য।
বিএনপির সঙ্গে জোট করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, আজ সকালের প্রেস মিটিংয়ে আমরা স্পষ্ট করেছি, আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবো। এটাও বলেছি যে ছোট দলগুলোর যে একটা সম্ভাবনা, বড় দলগুলো নিজস্ব প্রতীকের আন্ডারে যে কৃষ্টিকালচার বাংলাদেশে আছে, এটার মাধ্যমে নতুন কোনো দল সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়। আগামীর যে সংসদ হবে সেটাকে একদলীয় অর্থাৎ একটা দল কুক্ষিগত করার জন্য দুটো দলকে অল্প কিছু টাকা পয়সার বিনিময়ে দুই একটা সিটে নমিনেশন দেওয়ার বদলে তারা নিজকে পকেটস্থ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আগামীতে বিএনপি এবং জামায়াত যে বড় দলগুলো রয়েছে, সেখানে ‘শাপলা কলি’ ইনশাল্লাহ বড় ফাইটিং জোনে থাকবে। জনতার মধ্যে ইতোমধ্যেই শাপলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আবার শাপলার সঙ্গে কলিও যোগ হচ্ছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এটাকে নির্বাচন কমিশন বলতে পারি না বা ইলেকশন কমিশন বলতে এটাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশন বলতে পারি। এ ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশনে এসেছি এখানে অনেক কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে। সো ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশনের জায়গা থেকে আমরা আমাদের ফাইটটা করে যাচ্ছি। ইলেকশন কমিশন এখনো যথেষ্ট স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে।










