রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাতে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত নির্মাণ শ্রমিকদের মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। রাবিপ্রবির সিসিটিভি ফুটেজে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের ভেতরে ৭–৮ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। সশস্ত্র দলটি ৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে ঢুকে সেখানকার শ্রমিকদের কাছ থেকে ফোন নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
এদিকে, নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মীর হোসেন জানান, চাঁদা না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলে। চাঁদা না দিয়ে কাজ করলে তাদের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেয় শ্রমিকদের এবং তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনগুলো তারা নিয়ে যায়। কিন্তু তারা কোন দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, তা জানতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মীর হোসেন।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান জানান, সিসিটিভির ভিডিওতে আপনাদের মতো আমিও দেখেছি–একদল সশস্ত্র সস্ত্রাসী রাতে একাডেমিক নতুন ভবনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ থেকে মোবাইল নিয়ে গেছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার ফিল্ড ভিজিটও করেছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখছে। কেউ চাঁদা দাবি করেছে কিনা, তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলতে পারবে।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত তিন দফায় রাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে চাঁদা দাবিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মহড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।