হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, দক্ষিণ কাট্টলী বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী রানী রাসমনি বারুণী স্নানঘাটটি সনাতনী সমপ্রদায়ের কাছে ঐতিহ্যমণ্ডিত পীঠস্থান। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্পের নামে জায়গা নির্ধারণের কারণে ঐতিহ্যমণ্ডিত এই পীঠস্থানটি বিলুপ্তপ্রায় সরু গলিতে পরিণত হয়েছে। যার কারণে স্নান করতে আসা পুণ্যার্থীদের এখানে চরম বিড়ম্বনা ও অসুবিধার শিকার হতে হয়। তিনি এই ঘাটটি সংরক্ষণার্থে এবং উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। গত ৩০ আগস্ট সর্বজনীন মহাতীর্থ বারুণী স্নান উদযাপন পরিষদের স্নানঘাট পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
দক্ষিণ কাট্টলী সার্বজনীন মহাতীর্থ বারুণী স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিজন কান্তি নাথের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি দাশের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, ঐক্য পরিষদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দত্ত, যুব ঐক্য পরিষদ-মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবেল পাল।
শ্যামল কুমার পালিত বলেন, রানী রাসমনি ঘাটে পুণ্যময় সমুদ্র স্নান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যাপকতা এবং লাখো ভক্ত সমবেত হওয়ার কারণে স্নানঘাট এলাকায় বিশাল পরিসরে জায়গা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ জায়গা বরাদ্দ দিতে তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতি আবেদন জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।