ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক (টমটম) ছিনিয়ে নিতে চালককে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয় মাতামুহুরী নদীতে। সোমবার রাতে জীবিকার সেই বাহনসহ নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ–পুলিশ। চকরিয়া–পেকুয়া সীমান্তবর্তী বাঘগুজারা এলাকার সৈকত পাড়ায় নদীর চরে পড়ে থাকা হাত–পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত কর্তৃক অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার তরুণের নাম মুজিবুর রহমান (১৫)। সে চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পরিবার জানায়, ছিনিয়ে নেওয়া ইজিবাইক চালিয়ে তাদের সংসারের ভরণ–পোষণ চলতো। প্রতিদিনের মতো সেই গাড়ি নিয়ে বের হয় মুজিবুর রহমান। সোমবার রাত ১১টার দিকে তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া গেলেও রাত ১২টার পর থেকে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিতে থাকে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নদীর চরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে বদরখালী নৌ–পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করে।
মুজিবের বড় ভাই আবদুল আজিজ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের ইজিবাইকটি চুরি করার হুমকি দিয়ে আসছিল একটি সিন্ডিকেট। সেই গাড়ি চোর সিন্ডিকেটই এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকতে পারে।
বদরখালী নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. নাজেম উদ্দিন বলেন, ইজিবাইক ছিনতাই করতেই চালককে হত্যার পর হাত–পা ও মুখ বেঁধে নদীতে ফেলে টমটম নিয়ে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন মিয়া এবং পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, যে স্থানে মরদেহ পড়ে ছিল সেই স্থানটি ঠিক কোন থানার অধিভুক্ত তা যাচাই করে এবং পরিবারের লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।