পাঁচলাইশের নুরুল আলম রাজু হত্যা মামলায় ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও খালাস পাওয়াদের মধ্যে ১২ আসামি। ৯ আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক। অপরজনের বিচার শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসূলি আয়ুব খান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জহির, খোরশেদ, রকি, আয়ুব, ইমন ও দিপু। এরমধ্যে জহির, খোরশেদ, রকি ও আয়ুব পলাতক। বাকী দুজন ইমন ও দিপু কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আকবর, তারেক, ফয়েজউল্লাহ, আলাউদ্দিন, পিন্টু, রবিন, হায়দার, নুরুল বশর বিল্লু, জাবেদ, জিদান, হাসান, কাকন, জিয়াউদ্দিন, সাজ্জাদ ও ইলিয়াস। এর মধ্যে পলাতক রয়েছেন কাকন, ফয়েজউল্লাহ, আলাউদ্দিন ও সাজ্জাদ। বাকীদের মধ্যে হায়দার, ইলিয়াছ, জিয়াউদ্দিন, নুরুল বশর জিল্লু, আকবর, জিদান, জাবেদ, তারেক, হাসান ও রবিন কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর পাঁচলাইশ থানাধীন বিবিরহাট এলাকার পশ্চিমপাড়ার ক্যারাটি জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজুকে। এ ঘটনায় তার ভাই মো. কুতুবুল আলম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে উক্ত ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ হয়।
এদিকে রায় ঘোষণা পরবর্তী আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আপীল করব।