ব্যক্তিগত, দলীয় এবং গোষ্ঠীগত আদর্শ বা দর্শন থাকা স্বাভাবিক। কারোই যেমন তার আদর্শ বা দর্শন থেকে সরে আসা উচিত নয় এবং সে অনুযায়ী চলা উচিত, তেমনি অন্যের আদর্শ ও দর্শনকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তার আদর্শিক দায়িত্ব। সক্রেটিসের যখন বিচার চলছিল, তখন তিনি কোর্টে বলেছিলেন, যদি কেউ তার আদর্শ থেকে সরে আসে, তবে তা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে মৃত্যু ভয়ে একজন সৈনিকের পালিয়ে আসার মতো। এটা কাপুরুষতা ছাড়া কিছুই নয়। অর্থাৎ আদর্শবান ব্যক্তির আদর্শের কাছে মৃত্যু তুচ্ছ। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শ তাদের দলের গঠন তন্ত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই বললেই চলে। তাদের আদর্শ, যে কোনভাবে ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়া। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষককে প্রায়ই বলতে শোনা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো যে আদর্শ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, তা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের পরিবর্তে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা চায় হিংসা-প্রতিহিংসা এবং হানাহানির পরিবর্তে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং আস্থার রাজনীতি।
– এম. এ .গফুর, বলুয়ারদীঘির
দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম