বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ ও ব্যর্থ প্রমাণ করতে কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভার মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন কাদের। খবর বিডিনিউজের।
সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের বলেন, একটা কথা বলতে চাই, এক এগারোর সময়ে যেটা দেখেছি সেটা হল সুপরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো। এ দেশ স্বাধীন করেছে, দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরা। এখন সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তাদের ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতও আছি।
দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমরা প্রস্তুত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন করতে। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন, উৎসবমুখর হয়েছে। এরপর স্বতস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
পঁচাত্তর বছরে আওয়ামী লীগের অপ্রাপ্তি কী জানতে চাইলে কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রাপ্তির খাতার হিসেব ধরে এগিয়ে চলেছে। তবে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে।
৭৫ বছরে দিনে দিনে আওয়ামী লীগ অজনপ্রিয় দলে পরিণত হচ্ছে বলেই কি বর্তমান সংসদের প্রায় ৭৮ ভাগ ব্যবসায়ী, এই প্রশ্নে কাদের বলেন, রাজনীতি করলে কি ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই। সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জাতির জন্য কি বার্তা থাকছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বার্তা নতুন কিছু না। আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছি, এখন সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব–উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, এস এম কামাল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।