রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা পার্ক থেকে একটি বিলুপ্ত প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করার পর আজ শনিবার (১০ জুলাই) বিকালে বন বিভাগ সেটিকে দুধ পুকুরিয়া ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেয়।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পদুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা পার্কের কর্মচারীরা লোকালয়ে দেখতে পেয়ে লজ্জাবতী বানরটিকে উদ্ধার করেন। পরে পার্কের চেয়ারম্যান এরশাদ মাহমুদ বানরটিকে খাবার দেন এবং বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন। শনিবার বিকালের দিকে দুধপুকুরিয়া ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে লজ্জাবতী বানরটিকে অবমুক্ত করা হয়।
এই বিষয়ে খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধারকৃত বানরটি একটি বড় সাইজের বিড়ালের মতো। এরশাদ মাহমুদের মাধ্যমে এটি উদ্ধারের খবর পেয়ে পরবর্তীতে এটিকে দুধ পুকুরিয়ার অভয়ারণ্যে অবমুক্ত করা হয়।”
তিনি বলেন, “পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামটি একটি পাহাড় বেষ্টিত অঞ্চল। প্রায় সময় সেখানে বানর, অজগরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ধরা পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, লজ্জাবতী বানরটি পথ হারিয়ে লোকালয়ে চলে এসেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “লজ্জাবতী বানর বা বেঙ্গল স্লো লরিসকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) ২০২০ সালের তালিকায় সংকটাপন্ন (রেড লিস্ট) প্রজাতি হিসেবে দেখানো হয়েছে। লজ্জাবতী বানর ছোট আকারের। এটি বেঙ্গল স্লো লরিস নামে পরিচিত। স্তন্যপায়ী শ্রেণীর লরিসিডি পরিবারের সদস্য এই বানর বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনের তফসিল-১ অনুসারে সংরক্ষিত প্রাণী। লজ্জাবতী বানরের বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। এরা নিশাচর প্রাণী। এই বানর দিনের বেলায় গাছের উঁচু ডালে নিজেদের আড়াল করে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। লজ্জাবতী বানর কচি পাতা, পোকা-মাকড়, পাখির ডিম খেয়ে থাকে।”