রাঙ্গুনিয়ায় পুত্রবধূ খুনের অভিযোগ, শাশুড়ি গ্রেপ্তার

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১০ আগস্ট, ২০২২ at ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পুত্রবধূকে খুনের অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাশুড়িকে। গ্রেপ্তার নারীর নাম প্রভা নাথ (৪৫)।

তিনি উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নাথপাড়া এলাকার বাদল নাথের স্ত্রী। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালের দিকে অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

থানায় দায়ের করা মামলার বিবরণে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বাঁশখালী উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সরল ইউনিয়নের সমীর কান্তি নাথের মেয়ে রুমকি দেবনাথের (২৪) সাথে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নাথপাড়া এলাকার বাদল নাথের ছেলে রুবেল নাথের (২৮) প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের ঘরে তুললেও ছেলের মা-বাবা এই বিয়ে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো রুমকিকে। এর জের ধরে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলের দিকে বাড়িতে রুমকির শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হয়।

বিকেলেই রুমকির বড় ভাই সুকান্ত দেব নাথকে মুঠোফোনে ঝগড়ার বিষয় নিয়ে জানায় শাশুড়ি প্রভা। পরে সন্ধ্যার দিকে আবার ফোন করে জানায় তার বোন রুমকি স্ট্রোক করেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছে। পরে রাত আটটার দিকে সুকান্ত হাসপাতালে এসে দেখে তার বোনের লাশ।

পরে সুকান্ত দেব নাথ রাঙ্গুনিয়া থানায় গিয়ে রাতে বোনের স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করেন। শেষ রাতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে শাশুড়ি প্রভা নাথকে গ্রেপ্তার করে।

রুমকির বড় ভাই সুকান্ত দেব নাথ অভিযোগ করে বলেন, তার বোনকে স্বামী ও শাশুড়ি গলাটিপে হত্যা করেছে। তার গলার দুই পাশে কালো দাগ রয়েছে। তিনি তার বোনের হত্যাকারীদের বিচার চান। তার বোনের দেড় বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। অবুঝ শিশুটি যেন তাদের পরিবারে অবহেলার শিকার না হয়। ওখানে যেন শিশুটি বেড়ে উঠে।

জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বলেন, হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রুমকি দেবনাথের লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ভেটারেন ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে বিদ্যালয়ের গেইট ভেঙে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর