রাঙ্গুনিয়ায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ড পুরাবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. সাজ্জাদ (৩৫)। সে ইসলামপুর ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের গাবতল এলাকার আবদুল শুক্কুরের ছেলে। তাকে গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মো. সাজ্জাদ ও তার অপর এক বন্ধু ইসলামপুর ২ নাম্বার ওয়ার্ড খতিবনগর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. রিপন (২০) গত মঙ্গলবার জোরপূর্বক মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে রাঙামাটি নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে ভয় দেখিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে। পরেরদিন মেয়েটিকে তারা ওই অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে রাত পেরিয়ে গেলেও কিশোরী মেয়েটির কোন সন্ধান না পেয়ে পাগল প্রায় তার স্বজনরা। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তারা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করেন। অন্যদিকে রাতভর ধর্ষণের শিকার হয়ে মুমূর্ষু অবস্থা হয় কিশোরী মেয়েটির। পরে রাঙামাটির কিছু স্থানীয় লোকজন তাকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।
এ ব্যাপারে ইসলামপুরের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বেলাল বলেন, মেয়েটির পরিবার খুবই গরীব এবং নিরীহ প্রকৃতির। ধর্ষণকারীরা টাকার বিনিময়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেছিল। এ অবস্থায় তারা আমার কাছে এলে আমি গত শুক্রবার তাদের নিয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। কিশোরীর নানী বাদী হয়ে থানায় অভিযুক্ত ওই দু’জনকে বিবাদী করে মামলাটি দায়ের করেন। রাঙ্গুনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার শিকার কিশোরী মেয়েটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
