রাঙ্গুনিয়ায় উম্মে রশ্মি সায়রা (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের স্বজনরা বলছেন, মোবাইল দেখাকে কেন্দ্র করে পিতার বকা দিলে অভিমানে নিজ শয়ন কক্ষে ফ্যানের সাথে ঝুলে সে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রাশিদিয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার ওমর শরীফের মেয়ে এবং কাপ্তাই নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৭টার দিকে লালানগর ইউনিয়নের আলমশাহ পাড়া ৮নং ওয়ার্ড আমড়াকাটা রাস্তার মাথায় ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তীব্র শীতে হার্ট অ্যাটাক করে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা পুলিশের। পরিবারের স্বজনরা জানান, এদিন দুপুরে কলেজ ছাত্রী সায়রা ও তার ছোট বোন তাওরাত আকতার (১৫) ঘরে বসে মোবাইলে নাটক দেখছিলো। এসময় তার বাবা ঘরে ঢুকে তাদেরকে নাটক দেখা অবস্থায় দেখে বকাবকি করে ও তার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে মাটিতে আছাড় দেন। এতে অভিমান করে বিকেলের দিকে সায়রা শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি আরমান হোসেন জানান, কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে বৃদ্ধের মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। বৃদ্ধের শার্টের পকেটে ওষুধ পাওয়া যায়। গায়ে শীতের কাপড় ছিলো না। আপাত দৃষ্টিতে মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তি পূর্ব থেকে অসুস্থ ছিলেন এবং রাতে শীতের তীব্রতায় স্ট্রোক জনিত বা অজ্ঞাত কারণে মারা গেছেন। এটিও ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।












