রাঙ্গুনিয়ায় রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে চুরির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের গতকাল সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকার রমজান আলীর ছেলে মো. আলী (৩০), মো. ইউসুফের ছেলে মো. আদর (১৮), মো. নাসেরের ছেলে মো. রিয়াদ (১৯), মো. রুবেলের ছেলে মো. জুয়েল (১৯), মো. ইউসুফের ছেলে বেলাল হোসেন (২০)। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ টিপুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
জানা যায়, গত রোববার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার চন্দ্রঘোনা–কদমতলি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকায় অবস্থিত রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। পরে কর্তৃপক্ষ দেখে মন্দিরের ভিতরে রাখা হারমোনিয়াম, দানবাক্স দুটি, ৪টি সিসিটিভি ক্যামরা, মনিটর ও রেকর্ডার, মাইক ও পূজার সরঞ্জামাদি নেই। এছাড়া দুটি মূর্তির বিভিন্ন অংশও ভাঙা পাওয়া যায়। মন্দিরের কিছু দূরে টাকা ছাড়া ভাঙা দানবাঙ ও পাশে আগুনে পোড়া হারমোনিয়াম পাওয়া যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারুন বলেন, মন্দিরের চুরির ঘটনার সাথে মূর্তি ভাঙা ও জিনিসপত্র পোড়ানো কাম্য নয়। একই রাতে এলাকার ১১টি মসজিদের দানবাক্সও চুরি হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জড়িতরা গ্রেপ্তার হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত বাকীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।