রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াত খেতে এসে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক এসআই (উপ–পরিদর্শক)। উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পাগলা মামা মাজারের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. নুরুল আলম ওরপে বাচা ওরপে আবদুর রহিম ওরপে বাঘাইয়্যা (৪০)। তিনি মরিয়মনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামের আলী হোসেন প্রকাশ সোনা মিয়ার ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তার নাম আনোয়ার হোসেন (৫২)। তিনি ঝালকাটি জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বড়কবুর্তখালী গ্রামের মৃত কদম আলী জমাদারের ছেলে। ভুক্তভোগী, মামলার এজাহার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মোটরসাইকেল যোগে হাটহাজারী থেকে ভাগিনাসহ রাঙ্গুনিয়ার লিচুবাগান আসেন। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাগিনাকে দোকানে বসিয়ে মরিয়মনগরের পাগলা মামার মাজার সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে এলে তিন–চারজন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে নগদ ৩২ হাজার টাকাসহ একটি মানিব্যাগ, মোবাইল এবং ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো–ল ৫০–৪৮৮২) ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের তিন–চার ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে বাঘাইয়্যাকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়।
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন আরও জানান, ছেলের মোটরসাইকেল যোগে ভাগিনাসহ রাঙ্গুনিয়া বেড়াতে এসেছিলেন। মরিয়মনগর ইউনিয়নে ভাগিনার পূর্ব পরিচিত ব্যক্তির বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সময় এই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন তিনি।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুজন হাওলাদার জানান, গ্রেপ্তার বাঘাইয়্যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মারামারি, চুরি, ভাংচুর ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক চারটি মামলা রয়েছে। এখন নতুন করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।