কাপ্তাই হ্রদের নৌ-পথে নাব্যতা সংকটের কারণে রাঙামাটির ছয় উপজেলার সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার রাঙামাটি জোন চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দিন সেলিম।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের ফলে জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলার সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়েছে।
তবে এসময়ে ইঞ্জিনচালিত বোট ও স্পিডবোট যোগে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। তবে লঞ্চ চলাচল বন্ধের কারণে বাড়তি ভাড়া আর ছোট নৌযানে পরিবহনের ফলে দুর্ভোগে পড়বেন স্থানীয়রা।
ছয় উপজেলার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণার আগে থেকেই জেলার বাঘাইছড়ির সঙ্গে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. মঈনুদ্দিন সেলিম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের নৌ-পথে নাব্যতা সংকটে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হয়। হ্রদের নৌপথে পলি ভরাটের কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। সুবলং এলাকায় লঞ্চ আটকে যাচ্ছে।
শনিবার থেকে উপজেলাসমূহের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে হ্রদে ড্রেজিংয়ের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের নৌপথে খননের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে নৌ-পথে চলাচলকারী যাত্রী ও লঞ্চ মালিক নেতারা। তবে এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
কাপ্তাই হ্রদের নৌ-পথে খননের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠানোর কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবোর রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা জানান, কাপ্তাই হ্রদের কাচালং ও রাইংক্ষ্যং চ্যানেলে খননের জন্য আমাদের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্প পাস হলে নৌপথে খনন শুরু করা যাবে।