আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টি না হওয়ায় এবার পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে করে কৃষকরাও ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
রাঙামাটিতে বেশিরভাগ তরমুজ উৎপাদন হয় কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে। এর মধ্যে রাঙামাটির লংগদু ও রাঙামাটি সদর উপজেলায় সবচে বেশি তরমুজের চাষ হয়েছে। টসটসে রসালো তরমুজে সয়লাব এখন রাঙামাটি শহরের প্রত্যেকটি বাজার। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তরমুজ বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে। স্থানীয় চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে রাঙামাটির প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় তরমুজের প্রচুর উৎপাদন হয়েছে। এসেছে বাম্পার ফলনও। তরমুজ আবাদে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে অনেক চাষির।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতবছর রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় তরমুজ উৎপাদন হয়েছিল ৪২০ হেক্টর জমিতে। পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এবার ৪৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে লংগদু উপজেলায় ৪৫ হেক্টর এবং সদর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানায়, তরমুজের হেক্টর প্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ মেট্রিক টন। যার মোট উৎপাদন দাঁড়ায় ১৯৭৪০ মেট্রেক টন তরমুজ।
এদিকে, মৌসুমী ফল তরমুজের চাষ করে ফলন ভালো হওয়ায় বেজায় খুশি রাঙামাটির বাজারগুলোতে তরমুজ বিক্রয় করতে আনা চাষিরা। রাঙামাটি শহরের বনরুপা সমতা ঘাটের চাষী বিমল চাকমা আজাদীকে বলেন, আমরা কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে ৪-৫ মাস তরমুজ চাষ করে ছোট-বড় সাইজের তরমুজগুলো বিক্রয় করে প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো আয় করি। এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে আশা করি ভাল লাভ হবে।
শহরের বনরুপা বাজারের ফল ব্যবসায়ী বখতেয়ার আজাদীকে জানান, বড় সাইজের প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায় এবং ছোট সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকার মধ্যে। এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, আবাহাওয়া ভাল থাকায় রাঙামাটিতে এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। জেলার মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি তরমুজ উৎপাদন হয়েছে লংগদু উপজেলায়। তিনি বলেন, রাঙমাটির সকল কৃষকদের তরমুজ থেকে শুরু করে প্রত্যেক ফসলের উৎপাদন ভালো হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে রাঙামাটি কৃষি বিভাগ।