টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাঙামাটিতে প্লাবিত হওয়া পাকা ফসলি ধান ক্ষেত থেকে ধান কেটে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে হিল আনসার ও হিল ভিডিপি সদস্যরা। গতকাল সোমবার সকালে রাঙামাটির বরকল উপজেলায় প্লাবিত হওয়া কৃষকের পাকা ধান কেটে বোটযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি বেড়ে মেরুংয়ের সোবাহানপুর, চিটাগাংইয়্যা পাড়া, মেরুং বাজার সংলগ্ন নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। একাধিক স্থানে সড়ক ডুবে যাওয়া রাঙামাটির লংগদুর সাথে খাগড়াছড়ির যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয় নিয়েছে ৩৭ পরিবার।
রাঙামাটি জেলা আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন জানান, জেলার নানিয়ারচর, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় চলমান ভারি বর্ষণে পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় দরিদ্র কৃষকরা অর্থাভাবে ফসল তুলতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়া কৃষকদের আমাদের আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা ধান কেটে ও বোটে করে বাড়িতে পৌঁছানোর কাজে সহযোগিতা করছে। তাৎক্ষণিক এ সহযোগিতা পেয়ে অধিকাংশ ধান চাষি আবেগাপ্লুত হয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আনসার বাহিনীর সদস্যরা পাহাড় ধসসহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত কুমার সাহা বলেন, এখনো মেরুং ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম পানিবন্দি। প্লাবিত এলাকার মানুষ ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বন্যা দুর্গতদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মোতালেব হোসেন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক লোকমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।