রাঙামাটি ও বাঁশখালীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, বাঁশখালীর সরলে নানার বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে রাফসান চৌধুরী রাব্বি নামের দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাফসান চৌধুরী রাব্বি পুইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুইছড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার গ্রাম ডাক্তার মাহাফুজুল হকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকালে তার নানার বাড়ি সরল ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড আব্দুস সোবাহান মিয়াজি বাড়ির পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয় রাফসান চৌধুরী রাব্বির। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বাবা মাহাফুজুল হক।
জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে রাফসান চৌধুরী রাব্বির পিতা মাহাফুজুল হকের সাথে রাগ করে তার মা হেনা আক্তার রাফসান চৌধুরী রাব্বিরসহ তিন ভাইকে নিয়ে নানার বাড়ি সরল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড এলাকায় বসবাস করেছিল।
খেলার ছলে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে ডুবে যায় সে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফসান চৌধুরী রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটির লংগদুতে পানিতে ডুবে তাসলিমা নামের ২ বছর ৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের সোনাই মালাদ্বীপ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মৃত তাসলিমা আক্তার সোনাই এলাকার মালাদ্বীপ গ্রামের বোট চালক কাদির হোসেনের ছোট মেয়ে।
তাসলিমার বাবা কাদির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসলিমাসহ বাচ্চারা ঘরের সামনে খেলা করছিল। আমি ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ বাচ্চাদের আওয়াজ না পেয়ে মেঝো মেয়ে আকলিমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম তাসলিমা কোথায়? সে বলল তাসলিমা নদীর ঘাটের দিকে গেছে। আমরা দ্রুত নদীর কাছে গিয়ে খুঁজতে শুরু করি।
আশপাশে খুঁজে না পেয়ে পানিতে খোঁজাখুঁজি করলে কিছুক্ষণ পর তাসলিমার নিথর দেহ পানির নিচে পাওয়া যায়।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ জানান, শিশুটির মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এখন কাপ্তাই হ্রদ পানিতে ভরপুর। এই সময় শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেন ওসি।