রাউজানে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) এখানে ২৩ ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হলে পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৮ জনের।
সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্যানুসারে আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত রাউজানে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৩ জন। সংক্রমণের দিক থেকে চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়ে রাউজানের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে হাটহাজারী। এই উপজেলায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৮শ’ ৯২ জন।
আজ রবিবার বিকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গার মানুষ স্বভাবিক নিয়মে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানুষের মাঝে করোনা আতংক নেই বললেই চলে। আগামীকাল থেকে লকডাউন কার্যকর হওয়ার ঘোষণায় সারাদিন হাটবাজারগুলোতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
বেশিরভাগ মানুষকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতির মাঝেও নারীরা শিশু কোলে নিয়ে আগেভাগে ঈদের কেনাকাটায় নেমেছে বিপনী বিতানগুলোতে।
দেখে মনে হবে ঈদের আগের রাতের (চাঁদরাত) বেচাকেনার ধুম পড়েছে।
সারাদিন মুখে মাষ্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জনচেতনতা সৃষ্টিতে পৌর এলাকায় রিকশায় করে মাইকিং করতে দেখা গেছে রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল ও মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাষ্ক না থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের দায়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
তিনি আজাদীকে বলেন, “আগামীকাল শুরু হওয়া লকডাইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে। সকলকে মানতে হবে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি।”