রাউজানে ডাক্তার পরিচয়ে চোখের চিকিৎসা প্রদানের অভিযোগে পুলক কান্তি দে নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় রাউজান পৌরসভার আবছার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে তাকে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর। জানা যায়, পুলক কান্তি দে দীর্ঘদিন ধরে রাউজানের আবছার মার্কেটে ল্যাব সিস্টেম চেম্বারে বসে চোখের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছিলেন।
অথচ তিনি চট্টগ্রাম নগরীর একটি চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু চিকিৎসকের সহকারী। পুলক দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বলেন, ডিগ্রীধারী চিকিৎসক না হয়েও চক্ষু ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ব্যবস্থাপত্র দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করায় কথিত এক চক্ষু ডাক্তারকে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তার কোনো ডিগ্রি নেই চট্টগ্রামের কোনো একটি চক্ষু হাসপাতালে এসিস্ট্যান্ড হিসেবে কাজ করেন। ভবিষ্যতে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করবেনা মর্মে মুচলেখা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিগ্রিধারী চিকিৎসক না হয়েও স্পর্শকাতর চোখের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা অন্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।