চট্টগ্রাম নগরীর আছদগঞ্জের ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ রাউজানের সন্তান জাহাঙ্গীর আলমের খুনের ঘটনায় গতকাল শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর তার লাশ গতকাল দুপুরে রাউজানের গ্রামের বাড়ি নিরামিষপাড়ায় আনা হলে তাকে এক নজর দেখতে মানুষের ঢল নামে। বাদে আসর নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
গত শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের খুনে ঘটনার গত রাতেও দক্ষিণ রাউজানের নোয়াপাড়া ও আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছু গুলির শব্দ শোনা গেছে। ওই হত্যাকাণ্ডের জের ধরে বিক্ষুদ্ধ পক্ষের লোকজন নিরামিষপাড়ার মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নোয়াপাড়া পথেরহাটে গতকাল দুপুরে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনে বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ মাস্টার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে রাউজানের মানুষের নিরাপত্তায় এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে খুনি সন্ত্রাসীদের সব আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন।
রাউজান থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করেনি। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে। খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান আছে।