রাউজানের নোয়াজিশপুরের সুলাল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা ও হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. ইলিয়াস নামের অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন, মিঠু চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও এরশাদ হোসেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সঞ্জিত চৌধুরী। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সঞ্জিত চৌধুরী কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বাকিরা পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।
জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাউজানের নোয়াজিশপুর চিকদাইর সড়কে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সুলাল চৌধুরীকে কুপিয়ে খুন করা হয় এবং লাশ একটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। সুলাল ঘটনার সময় তার ফার্মেসি দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ ঘটনায় সুলালের পরিবার রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল হলে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।