রাউজানে আ.লীগ নেতাসহ দুইজনকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ মার্চ, ২০২১ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের নোয়াপাড়ায় দুইজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তাদের প্রতিপক্ষ একটি অংশের বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও নোয়াপাড়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম। অন্যজন জাহাঙ্গীর আলম।
মনিরুল ইসলামকে ২৭ মার্চ এশার নামাজের পর পথেরহাট ভূমি অফিস জামে মসজিদের পাশ থেকে এবং জাহাঙ্গীর আলমকে ২৮ মার্চ বিকেল চারটার দিকে নোয়াপাড়া বাজার থেকে তুলে নিয়ে সন্ত্রাসীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগ উঠেছে- জাহাঙ্গীর আলমের এক পা ও দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তিনি বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। দুই ঘটনাতেই স্থানীয় এমরান ও মতিয়র রহমানসহ কয়েকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনা দুটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন।
নোয়াপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নিজেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘২৭ মার্চ এশার নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় এমরান ও মইত্যা (মতিয়র রহমান)সহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত আমাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে মারধর করে এবং আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। এসময় আমার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে পুলিশের হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন করলে তাদের রাউজান থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপর অবশ্য আমাকে ছেড়ে দেয়।’
অন্য ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার বিকেলে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘২৮ মার্চ বিকেল চারটার দিকে নোয়াপাড়া থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় আমাকে একটি সিএনজিতে তুলে নেয়। এরপর পুকুর পাড়ের নির্জনস্থানে নিয়ে আমার হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়। বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে সিএনজি চালক জসিম, এমরান ও মইত্যাসহ কয়েকজন আমাকে মারধর করে।’ এ বিষয়ে বাবুল মেম্বার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ও (জাহাঙ্গীর) কেন আমার নাম বলতেছে, কোন প্রমাণ থাকলে আমার নাম আসলে কোন আপত্তি নেই।’ তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘যা কিছু করবেন যাচাই বাছাই করে করবেন।’ অন্যদিকে দুই ঘটনাতে জড়িত কি না জানতে চাইলে মতিয়র রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘কতজনে কতকিছু বলবে, ওটাতো আমি জানি না।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধফতেয়াবাদে ফুটন্ত ফুল আসরের মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধবিএইচবিএফসির ‘২৫ মার্চ নৃশংস গণহত্যা দিবস বিষয়ক’ ভার্চুয়াল সভা