ইসরাইলী বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় আহত ফিলিস্তিনি মানুষকে বাঁচানোর জন্য জরুরি ঔষধ প্রয়োজন। রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর এই আহ্বান ছিল তার ফেসবুক পেজে। তিনি দেশের মানুষের কাছে কয়েকদিন আগে এই আহ্বান জানিয়েছিলেন ঔষধ সহায়তার। সেই স্ট্যাটাস পেয়ে ফারাজ করিম চৌধুরীর দেয়া রাউজানের ঠিকানায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ ঔষধ এসেছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে।
এসব ঔষধ কুরিয়ার সার্ভিস থেকে গ্রহণ করেছেন সাংসদ পুত্রের গড়া সংগঠন ‘সেন্ট্রাল বয়েজ অভ রাউজান’-এর সদস্যরা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব ঔষধের মধ্যে আছে এনক্সাপেরিন ৪০ মি.গ্রা., এনক্সাপেরিন ৬০ মি.গ্রা., প্যারাসিটামল ৫০০ মি.গ্রা., ভ্যানকোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা., মেরোপেনাম ১ গ্রাম, এমিওডারন ১০০ মি.গ্রা., ফেনেরগান ২৫ মি.গ্রা., বুডিসোনাইড।
ফারাজ করিম চৌধুরী তার আহ্বানে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের বর্তমান সংকটকালে তিনি ফিলিস্তিনি দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ করে সেদেশের দুর্গত মানুষের জন্য সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তার প্রস্তাবে রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানিয়ে নগদ টাকা সহায়তা দেয়ার পরিবর্তে চেয়েছিলেন আহত মানুষের প্রাণ রক্ষায় জরুরি ঔষধ। এমন পেক্ষাপটে মানুষের কাছে ঔষধ সহায়তা চেয়ে তিনি মানবিক আবেদন করেছিলেন।
গতকাল বুধবার (১৯ মে) বিকালে এসব ঔষধ গাড়িতে উঠিয়ে দেন রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ।
তিনি জানান, ফারাজ করিম চৌধুরী ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার মাধ্যমে এসব ঔষধ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাউজান থেকে গাড়ি ভর্তি ঔষধের চালান নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন সেন্ট্রাল বয়েজ অভ রাউজান-এর সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন।












