ভিন্ন মতের কারণে রাউজান কলেজ (বর্তমানে সরকারি) থেকে বিতাড়িত করা সাতজন শিক্ষক ও দুইজন কর্মচারী দীর্ঘ সময় পর কলেজে স্ব স্ব পদে যোগদান করেছেন। এসব শিক্ষক কর্মচারীদের কলেজ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক কর্মচারীদের অভিযোগ, স্বৈরচার আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে থাকা জুলুমবাজ গভর্নিং বড়ির সদস্যরা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদেরকে কলেজ থেকে তাড়ানো হয়েছিল নানা অজুহাত দেখিয়ে। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে পরদিন ৬ আগস্ট বিতাড়িত শিক্ষক–কর্মচারীরা কলেজে যোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়। যোগ দেয়া শিক্ষক কর্মচারীরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মো. নজরুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শওকত উদ্দিন ইবনে হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জহুরুল আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আবুল মোস্তফা, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক এস.এম. হাবিব উল্লাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. আতিক উল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শামসুল আনোয়ার, মসজিদের ইমাম মো. নুরুল আলম, নিম্নমান সহকারী মো. আমিনুল ইসলাম পাটোয়ারী।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাউজান সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী বলেন, নির্যাতিত শিক্ষক কর্মচারীদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে বিতাড়িত করা হয়েছেছিল। দীর্ঘ সময় থেকে এসব শিক্ষক–কর্মচারী বেতন ভাতা উত্তোলন করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপনে ছিলেন। অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী যোগ দেয়া শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।