রাইজিং স্টার ক্লাব এবং রাইজিং স্টার ক্লাব জুনিয়র। দুটি দলই এখন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে। রাইজিং স্টার ক্লাব দীর্ঘ দিন ধরেই চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেললেও রাইজিং স্টার ক্লাব জুনিয়র এবারই প্রথম খেলছে প্রিমিয়ার লিগে। সংগত কারনেই দু দলকে মুখোমুখি হতে হয়েছে। গতকাল দু দলের লড়াইয়ে জয়টা পেয়েছে ঠিকই বড় ভাই রাইজিং স্টার ক্লাব। যদিও ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে হঠাৎ করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছিল জুনিয়ররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে নিজেদের জয়ের চাকা সচল রাখল রাইজিং স্টার ক্লাব। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে রাইজিং স্টার ক্লাব। আর দুটিতেই হেরেছে রাইজিং জুনিয়র।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রাইজিং জুনিয়র ১৫ রানে হারায় ওপেনার আবদুল্লা জিসানকে। তিনি করেন ১১ রান। ৩০ রানের মাথায় ফিরেন আরেক ওপেনার আবুল হাশেম রাজা। তিনি ফিরেন ১২ বলে ১৭ রান করে। এরপর শাহাদাত হৃদয় একপ্রান্ত ধরে রেখে লড়াই করে গেছেন। অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। তবে শেষ দিকে তারেক আজিজ এবং আশরাফুল হোসেন বাবু কিছুটা সহায়তা করলে ১৯১ রানে পৌঁছে রাইজিং জুনিয়রের ইনিংস। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা শাহাদাত হৃদয় ৯৩ বলে ৫ চারের সাহায্যে করেন ৫২ রান । শেষ দিকে তারেক আজিজ ৫৭ বলে করেন ২৬ রান। আর আশরাফুল হোসেন বাবু ২৫ বলে ২টি করে চার আর ছক্কায় করেন ৩০ রান। আর তাতেই ৪৮.১ ওভারে ১৯১ রান করে অল আ্উট হয় রাইজিং স্টার ক্লাব জুনিয়র। রাইজিং স্টারের পক্ষে নিশিত ঘোষ নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া রহিম ও আকিব নিয়েছেন ২টি করে উইকেট ।
১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাইজিং স্টার ক্লাব ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ২৬ রানে নেই দ্বিতীয় উইকেট। এরপর অবশ্য আলভী, মুনতাসির রাজিবরা মিলে বেশ ভালই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। ৬৩ রানের মাথায় ৪০ বলে ৩০ রান করে ফিরেন আলভী। দলকে ৮৪ রানে পৌঁছে দিয়ে ফিরেন ২৫ রান করা মুনতাসির। ২৪ রান করে রাহিম ফিরলেও নিশিতকে নিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক রাজিব। দলের রান যখন ১৮১ তখন পিরে রাজিব। যদিও ফিরে আসার আগে ৭৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আসেন। ৪৪ এবং ৪৫ তম ওভারে পরপর তারেক রহমান এবং আকিবুল ইসলামের পর নিশিত কুমার ফিরে এলে হঠাৎ করেই প্রান সঞ্চার হয় মরা ম্যাচে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাইজিং স্টার ক্লাব। দলের পক্ষে নিশিত করেন ২৫ রান। রাইজিং স্টার জুনিয়রের পক্ষে রকিবুল হাসান ৪ উইকেট নিয়ে মুলত উত্তেজনাটা ছড়িয়েছিলেন। তারেক আজিজ নিয়েছেন ২টি উইকেট।