রহমতগঞ্জ গণপূর্ত অফিসের সামনে ছোটন দত্ত নামে এক ঠিকাদারকে দিনদুপুরে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার সময় উপস্থিত আহত ঠিকাদার ছোটন দত্তের বড় ভাই বিটন দত্ত আজাদীকে বলেন, মোটর সাইকেলে করে ছোট ভাই ছোটনসহ আমরা রহমতগঞ্জ গণপূর্ত অফিসে একটি কাজে যাই। অফিসের গেইটে ঢুকার সময় ৫/৬ জন আমাদের পথ আটকিয়ে ভাইকে গালিগালাজ করে শার্ট ধরে টেনে মোটরসাইকেল থেকে নামতে বলে। এসময় আমি প্রতিবাদ করলে তারা প্রথমে আমার মাথায় ও কোমরে লাথি এবং কিল ঘুষি মেরে আহত করে। এসময় আমি প্রাণে বাঁচতে গণি বেকারির দিকে পালিয়ে যায়। আমি পালিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই তারা আমার ভাইকে রাস্তার উপর ফেলে উপর্যুপরি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ছুরি দিয়ে ছোটনের মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং ছোটনের সাথে থাকা ব্যাগ ও পকেট থেকে তিন লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর আমরা বিষয়টি রহমতগঞ্জ গণপূর্ত সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহকে জানিয়েছি। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি অফিসের সিসিটিভিতে আছে। তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন এ রকম ব্যক্তি বিশেষ কাউকে ফুটেজ দেয়া যাবে না। ফুটেজ সংরক্ষিত থাকবে। পুলিশ চাইলে দিবেন।
এই ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল কবীর আজাদীকে বলেন, রহমতগঞ্জ গণপূর্ত অফিসের সামনে মারামারির ঘটনায় তারা থানায় এসেছিল। অতিরিক্ত রক্ত পড়ার কারণে তারা উনাকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছেন। চিকিৎসা করে আসবেন বলেছিলেন। এখনো আসেননি। মামলাও করেননি।
অভিযোগে জেনেছি গত ৩ জুনের ঘটনায় আজকেও (গতকাল বুধবার) রহমতগঞ্জ গণপূর্ত অফিসে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ জুন রহমতগঞ্জ গণপূর্ত অফিসে টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুইগ্রুপের মধ্যে যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। সেই মামলার আসামিরা আজকে বুধবার (গতকাল) আবার রহমতগঞ্জ অফিসে এসেছে এই খবর শুনে আমাদের টিম সেখানে গিয়েছিল। গিয়ে মামলার এক আসামি সাব্বিরকে ধরে থানা নিয়ে আসে। থানায় আনার পর আমরা জেনেছি মামলার আসামিরা সবাই হাইকোট থেকে জামিন নিয়েছেন। সাব্বির হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়ার কাগজপত্র দেখানোর পর আমরা তাকে ছেড়ে দিই। আমাদের টিম ঐখান থেকে চলে আসার পর ঐদিনের ঘটনা নিয়ে দুইগ্রুপের মধ্যে আবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ সার্কেল–১ নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ আজাদীকে বলেন, এই রকম একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আমাদের অফিসাররা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে ঘটনাটি আমার অফিস এলাকার ভেতরে হয়নি, রাস্তায় হয়েছে। এগুলো টেন্ডারের কোন বিষয় না, নিজেদের ইন্টারন্যাল কোন্দল থেকে হতে পারে। আগেও তাদের মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটেছে।