খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে রমজানের আগে কমছে প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজরে সরবরাহ বাড়ার কারণে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম নিম্নমুখী রয়েছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি কিছুটা কমলেও রমজান উপলক্ষে যারা পণ্য আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন, তাদের পণ্য বাজারে আসা শুরু হয়েছে। বর্তমানে কোনো পণ্যের সংকট নেই। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর গুদামে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য রয়েছে।
গতকাল সোমবার খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ান ছোলার দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকায়। অন্যদিকে গত বছরের অবিক্রিত ভারতীয় ছোলা দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকায়। এছাড়া মশুর ডালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মটর ডালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা, চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকায়। এছাড়া এলাচের দাম কেজিতে ২০০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছ ২ হাজার ২০০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ৮৫ টাকা কমে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা, জিরা ৫০ টাকা কমে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পাম তেলের দাম মণপ্রতি (৩৭.২৩৭ কেজি) ১২০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৮২০ টাকা এবং মণপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৯০০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, চীনা রসূন কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৬০ টাকা এবং চীনা আদা কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা এবং মিয়ানমারের আদা কেজিতে ২০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
জানতে চাইলে চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তাই দামও নিম্নমুখী রয়েছে।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরবরাহে ঘাটতি থাকার কারণে বেশ কিছুদিন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তি ছিল। তবে এখন বাজারে রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা পণ্য গুদামজাত করতে শুরু করেছেন। অনেকের আমদানি পণ্য বন্দর থেকে খালাসের অপেক্ষায় আছে। সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভোগ্যপণ্যের বাজার পাইকারীতে নিম্নমুখী হলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগে। তাই পাইকারীতে দাম কমার সরাসরি সুফল সাধারণ ভোক্তারা পান না। কিন্তু দেখা যায়, কোনো পণ্য পাইকারীতে দাম বাড়লে খুচরা ব্যবসায়ীরা সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দেন। তাই প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার করতে হবে। যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে।