আসন্ন রমজান উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে মতিবিনিময় করেছেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের নেতারা। গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ–পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, আনিসুর রহমান, মাহমুদা আক্তার ও ক্যাবের সাংঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস। সভায় খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ–সভাপতি আহমদ রশীদ আমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর পারভেজ, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম আজাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন, সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুর্নবাসন সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, নির্বাহী সদস্য পরিতোষ দে, মো. জাবেদ ইকবাল, কাজল পালিত, মো. শাহেদুল ইসলাম ও মো. শফিউল আলম। সভায় সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ–পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনশীল করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। এছাড়া ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেছেন।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ওজন স্কেলের কারণে পণ্যের মূল্য ২–৩ টাকা বাড়তি গুণতে হয়। ফলে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ে তাই ব্যবসায়ীরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে ওজন স্কেলের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানান। এছাড়া বাজার মনিটরিংয়ের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানির না করার অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে যেন তারা এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিকে নিয়ে বাজার পরিদর্শনে যান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, পণ্যের মূল্য সহনশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের যা যা সমস্যা হয় তা যৌক্তিক সমাধান করার চেষ্টা করা হবে এবং ওজন স্কেলের বিষয়টি ভোক্তা অধিদপ্তরের আওতায় পড়ে না তারপরেও এ বিষয় নিয়ে তিনি সুযোগ হলে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি কালোবাজারিদের প্রতিরোধ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।












