জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবীর (দ.) মাস রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানিয়ে র্যালি বের করেছে কর্ণফুলী গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক থেকে বের হয়ে র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের একই স্থানে এসে মিলাদ-কিয়াম মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ র্যালিতে অংশ নেন।
র্যালিতে মুসল্লিদের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, চাঁদ-চার তারকার ত্রিকোণাকার সবুজ পতাকা, বিভিন্ন আহবান সম্বলিত প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ইয়া নবী সালাম আলাইকা, মোস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম ইত্যাদি হামদ-না’তে রাসূল (দ.), নারায়ে তকবির – আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত- ইয়া রাসুলাল্লাহ (দ.) নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ধরাতে শুভাগমনের মহান নিদর্শন পবিত্র রবিউল আউয়াল।
সৃষ্টির মূল রহস্য রাসুলের (দ.) এ পৃথিবীতে শুভাগমন বিশ্বমানবতার জন্য এক মহা নেয়ামত। আর এ নেয়ামত প্রাপ্তিতে পবিত্র কোরআনে শোকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের নির্দেশনা রয়েছে।
এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আল্লামা হাফেজ কারি সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) ১৯৭৪ সালে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবীর (দ.) গোড়াপত্তন করেছিলেন, তা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বক্তারা আনজুমান ট্রাস্টের উদ্যোগে ৯ রবিউল আউয়াল রাজধানী ঢাকায় এবং ১২ রবিউল আউয়াল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) সফল করার জন্য সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশে কর্ণফুলী গাউসিয়া কমিটির সহ-সভাপতি মনজুর আলম মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও মাওলানা নুর মোহাম্মদের সঞ্চলনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্জুমান ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন মুহাম্মদ আবদুল্লাহ্। স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যালী প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইলিয়াস মুন্সি।
এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন, মাওলানা আনোয়ারুল হক আল-কাদেরী , হাবীবুল মোস্তফা, জি এম কবির, নুরুল আমিন আল কাদেরী, খোরশেদ আহমেদ প্রমুখ।