কেউ কি কারো সুখ কেড়ে নিতে পারে? একটা সময় এসে মানুষ কুল হারিয়ে সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়ে চোখের জল ফেলে। দৈন্যতা প্রকাশ করতে না পেরে বড্ড অবলা ভাবে নিজেকে। হতাশার তিমিরে দিশার খোঁজ পাওয়া দুরূহ। তবুও মানুষ থেমে থাকেনি। আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয় না। তাই নিরুৎসাহিত না হয়ে ইচ্ছের প্রবল মনোভাবে ঘুরে দাঁড়ান। আত্মা বিদীর্ণ অনিবার্য নিয়তির কাছে বিশ্বাসের মনোভাবকে শাণিত করতে বার বার স্থবির মনটাকে অন্তহীন ভাবনার বলয়ে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। সময় বয়স ও অসুস্থতাকে চেপে গিয়ে জীবনের তাগিদে স্রোতস্বিনী হতে মনোবল তৈয়ার করুন। জমকালো মরীচিকা দৌর্দণ্ডপ্রতাপেও দমাতে পারে না মানবের সদিচ্ছা।
ভালোবাসা চিরদিন অমলিন। বলা যায় নিঃশ্বাস ও বিশ্বাসের সর্বোত্তম ঠিকানা ভালোবাসা। তাও উধাও হয়ে যায়, অবারিত জগত জীবনে। কথায় বলে ধৈর্য ধরুন। মনের খেই না হারিয়ে নিজেকে যোদ্ধা ভাবুন। যদিও সময়ের ধারাপাতে নিবিষ্ট কষ্ট ও যন্ত্রণা ব্যথার জাল বুনে, শুরু হয় মনের জ্বালা ও কষ্টের দহন। কারো মুখাপেক্ষী হয়ে মনকে দুর্বল না করে বরং সতত মনে সাবলীল ক্রিয়াই অব্যাহত রাখাই উত্তম। মনে রাখবেন, রব মঙ্গলোকে বিচরণে সবার দিকে তাকিয়ে আছেন। তিনিই নিশ্চয় আপনার আমার সবার সবচেয়ে ভালো বন্ধু।