রপ্তানি বাণিজ্যে গতি

মার্চে রেকর্ড রপ্তানি, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১১ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

করোনার দুর্দিনে মুখ থুবড়ে পড়া দেশের রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল হয়ে উঠছে। বিশ্বের শিপিং সেক্টরের বন্ধ্যাত্ব এবং বিভিন্ন দেশ থেকে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর রপ্তানি বাণিজ্য এখন আবার চাঙ্গা। বিদ্যমান ধারা অব্যাহত থাকলে রপ্তানি আয় ৫১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নেমেছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ লকডাউন দেয়ায় তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের রপ্তানি পণ্যের বাজার সংকুচিত হয়ে যায়। পৃথিবীর অনেক দেশ আমদানি কমিয়ে দিয়েছিল। মানুষ বাহুল্য বর্জন করায় কমে গিয়েছিল পণ্যের চাহিদা। সবকিছু মিলে দুই বছরের করোনাকালে রপ্তানি আয় কমে গিয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ছিটকে পড়ারও উপক্রম হয়েছিল।
দুই বছর পর বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি ঘটেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ লকডাউন তুলে নিয়েছে। এখন ব্যবসা বাণিজ্য চাঙ্গা হয়ে উঠছে। মানুষ কেনাকাটা করছে। একই সাথে প্রায় থমকে যাওয়া আন্তর্জাতিক শিপিং সেক্টরেও গতি ফিরেছে। এতে করে রপ্তানির পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৭৩ হাজার ৫৪২ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য রপ্তানি হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি হয় ৭০ হাজার টিইইউএস কন্টেনার পণ্য। মার্চে ৭৬ হাজার ২শ টিইইইউএস কন্টেনার পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা রেকর্ড বলে বন্দর সূত্র জানিয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মার্চে ৪৭৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২২ কোটি ডলার বেশি। মার্চে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫৪ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যমান ধারা অব্যাহত থাকলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটলে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ অনেক বাড়বে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রচুর অর্ডার রয়েছে। প্রতিটি ফ্যাক্টরিতে কাজ হচ্ছে। বিদেশে প্রচুর পণ্য যাচ্ছে। আমাদের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসব কাটিয়ে উঠে রপ্তানির স্বাভাবিক ধারা ধরে রাখতে পারলে রপ্তানি গত বছরগুলোর চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারী ও চন্দনাইশের দুই নারীর কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধরেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ ইন্সপেক্টর প্রত্যাহার