বান্দরবান পাহাড়ি এলাকা থেকে ঢাকায় পাচারকালে কর্ণফুলীতে বিরল প্রজাতির দুটি তক্ষকসহ ২ পাচারকারীকে আটক করেছে সিএমপির কর্ণফুলী থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে তক্ষক দুটি জব্দ করে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার বটতলী গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে হাজী মো. মনিরুল হক (৬০) ও সাভার থানার বাকুরতা খাইসাছরের আক্কাস আলী মাস্টারের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (৫০)। বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, এসব তক্ষকের মূল্য কোটি টাকার উপরে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তক্ষক দুটি বিরল প্রজাতির; যার ওজন আনুমানিক ১৫০ গ্রামের বেশি এবং লম্বা ১৪ ইঞ্চি। এগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো মূল্য না থাকলেও আনঅফিসিয়ালি এগুলোর মূল্য অনেকর। সম্ভবত সেঙুয়াল ওষুধ তৈরিতে এগুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পাচারকারীদের কাছ থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লোহার খাঁচায় রক্ষিত অবস্থায় এই দুটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়। গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসি মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, সহযোগীদের সহায়তায় তক্ষক দুটি বান্দরবন পাহাড়ি এলাকা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই পাচারকারী। এটি পাচার করার জন্য ক্রেতাদের সাথে তারা যোগাযোগ করেছিলেন।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা জানান, তক্ষক নিয়ে আটককৃত এক ব্যক্তিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তক্ষক দুটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পটিয়া রেঞ্জে হস্তান্তরের পর শ্রীমাই রিজার্ভ ফরেস্টে সন্ধ্যায় অবমুক্ত করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ বনবিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।