দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে যৌতুক নিরোধ আইন থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন হুড়মুড় করে যৌতুকের মতন জঘন্য অপকর্ম বেড়েই চলেছে। সমাজে এখন বিয়ে হওয়া মানেই যেন কনের পিতার থেকে অধিকতর অর্থ আর কনের ঘর সাজানোর নামে বৈচিত্র্যময় ফার্নিচার আদায় করা। আবার সমাজে একশ্রেণির যুবাদের স্বপ্নই থাকে বিয়ের সময় উপহারের নামে কয়েক লক্ষ টাকা কিংবা বাইক নেয়া ইত্যাদি। বোধহয় যৌতুকই এখন বিয়ের প্রধান অংশ। আবার সমাজে যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের খবর নতুন কিছু নয়। খবরের পাতা খুললেই দেখা যায় অমুক জায়গায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে বউকে বেধড়ক পেটালেন স্বামী, তমুক জায়গায় যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বউ। এমন শিরোনামে অহরহ খবরের দেখা মেলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। আবার এই নির্যাতনের ধারা শুধু স্বামীতে সীমাবদ্ধ থাকে এমনটি নয়। কখনো কখনো লক্ষ্য করা যায় যে, শাশুড়ি এবং ননদ–ও বিভিন্ন ভাবে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। অনেক সময় বেহুদা গালমন্দের স্বীকারও হতে হয়। শ্বশুর বাড়ি থেকে বিভিন্ন প্রকার চাপ সৃষ্টির প্রধানতম কারণ হলো যৌতুক প্রথা। তবে এই সকল খবর নিত্য দিনের হওয়া সত্ত্বেও এবং দেশে সরকারি আইন থাকা সত্ত্বেও, কেন এই যৌতুকের নামে ঘৃণিত কাজ বন্ধের জন্য কোন রকম পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না? কেন সমাজের মানুষ সোচ্ছার হচ্ছে না? আর কত মা বোন যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হলে আত্মহত্যা করে প্রাণ দিলে জাতি সচেতন হবে? আসুন সবাই সোচ্ছার হই, যৌতুকের মতন কু প্রথার বিরুদ্ধে সতর্ক হই। যৌতুকের সাথে যে বা যারা সংশ্লিষ্ট থাকবে তাদের কে আইনের আওতায় নিতে সাহায্য করি। সমাজ এবং দেশকে অপকর্মের হাত থেকে রক্ষা করি। যৌতুককে না বলি যৌতুকমুক্ত দেশ গড়ি।
সাদিক ইবনে কাদের, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম।