কালের যাত্রায় পৃথিবী আমার–
সেকাল–একাল–পরকাল,
শৈশবে আমার সেকাল ছিল–
কমতি ছিলোনা আবদার!
প্রতি হাটে বাপজান আমায়–
বানাতো চুড়ির সরদার,
তা পেয়ে আমি লক্ষ্মী মেয়ে–
বাধ্য কথা শোনবার!
মায়ের শাড়ির ভাঁজটা আমার–
সাথী থাকতো খেলার,
নকল চুলের বিনি গাঁথতাম–
গৃহস্থ বউ সাজার!
দাদী বলতো নাতনী আমার–
হবে মস্ত অফিসার,
গাঁয়ের দুঃখে ঢাল পেতে–
ধ্বংস আনবে নিরাশার!
শৈশব ছেড়ে কৈশোর আমার–
যখন শুরু আশার,
তখনই আসলো গ্রাস করে নিতে–
ভবিষ্যৎ এর আধার!
কালের যাত্রায় পৃথিবী আমার–
সেকাল–একাল–পরকাল,
কৈশোর আমার একাল হলো–
মানতে সময় জোরদার!
কৈশোরে নাকি উঠতি আমার–
সময় নাকি ভাসার,
বাড়লে বয়স সুখ হারাবে–
যৌতুক হবে আষাঢ়!
তাই বাবা গড়লো কপাল আমার–
ঠিকানা যাওয়া–আসার,
যৌতুকের সেই দায় মেটাতে–
ভিটেখানি গেল বাবার!
সুখেই কাটল বছর এক আমার–
ভিটের দামে সংসার,
বাবা আমার হারিয়ে গেল–
বুঝতে পেরে ভুল তার!
শেষ না হতেই সময় আবার–
প্রয়োজন লাখ টাকার,
সেই শোধেতে কোমল পিঠে–
হাঁতুড়ি চলতো আমার!
কালের যাত্রায় পৃথিবী আমার–
সেকাল–একাল–পরকাল,
যৌবনে আমার পরকাল হলো–
যৌতুকের দায় তার!