দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পর এবার উদ্বেগ বেড়েছে মহানগর ও উত্তর জেলা যুবলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের। গত ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ১০১ সদস্যের মধ্যে ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মহানগর ও উত্তর জেলা যুবলীগের সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীদের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বেড়েছে। যে কোনো সময় কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে এমন আশায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঢাকামুখী হয়ে পড়েছেন। যেহেতু দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে- ধারণা করা হচ্ছে যেকোনো সময় উত্তর জেলার কমিটিও ঘোষণা করা হতে পারে। এজন্য উত্তর জেলা যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করছেন। একইভাবে মহানগর যুবলীগের সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীরাও ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
উত্তর জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী দুই নেকার সাথে কথা হলে তারা জানান, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি যেহেতু ঘোষণা করা হয়েছে সেহেতু উত্তরের কমিটিও ঘোষণা করা হতে পারে যেকোনো সময়। এজন্য গত চারদিন ধরে ঢাকায় আছেন বলে জানান তারা। একইভাবে মহানগর যুবলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী প্রায় ৪-৫ জন নেতা গত ৪/৫ দিন ধরে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে হাজিরা দিয়ে কাটাচ্ছেন কমিটির আশায়। কেন্দ্রীয় এক শীর্ষ নেতা গতকাল আজাদীকে জানান, উত্তর জেলা কমিটি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। সন্দ্বীপ থেকে সভাপতি এবং হাটহাজারী থেকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষণার আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা এবং এক এমপির চাপে পড়ে এই কমিটি আটকে গেলো। মূলত সভাপতি প্রার্থী নিয়ে এই কমিটি আটকে আছে।
উত্তর ও মহানগর যুবলীগের সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশী বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, সম্মেলনের প্রায় ছয় মাসের মাঝামাঝি সময়ে অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ১০১ সদস্যের মধ্যে ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যাদের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তারা দুইজনই আওয়ামী লীগ নেতা। এই কারণে তাদের মধ্যেও টেনশন আরো বেশি কাজ করছে।
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী দুই নেতা জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি ধারা আছে। ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগে আসে। যুবলীগ থেকে আসে আওয়ামী লীগে। কিন্তু এবারে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের এই ধারা ভঙ্গ করা হয়েছে। তারা বলেন, নতুন কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক দুইজনকে আওয়ামী লীগ থেকে এনে যুবলীগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাহলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং যুবলীগ যারা করেছে তারা কোথায় যাবে?
দীর্ঘদিন যাচাই-বাছাইয়ের পর যুবলীগের শীর্ষ দুইপদে আওয়ামী লীগের নেতারা স্থান পাওয়ায় ক্ষোভে দুই সহ সভাপতি ঐদিনই পদত্যাগ করেছেন। দক্ষিণ জেলার মতো উত্তর ও মহানগরেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্বপ্ন ভঙ্গের টেনশনে আছেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শীর্ষ নেতা আজাদীকে জানান, উত্তর ও মহানগর কমিটি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। যে কোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল ২৮ মে, উত্তর জেলার ২৯ মে এবং মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল ৩০ মে।