বঙ্গবন্ধুর অন্যন্য ভাষনটি কালের যাত্রার ধ্বনি হয়ে মহাকালের পানে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। যা ছিল আমাদের হৃদয়ে গাঁথা তা আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্ব মানবতার জন্যও অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় এক মহামূল্যবান দলিল বা সম্পদ। এই ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষদের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ ভাষণ পৃথিবীর একাধিক ভাষায় মুদ্রণ হয়েছে। জাতিসংঘের মতো বিশ্ব সংস্থার এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ঘটনা ও বঙ্গবন্ধুর মহান কীর্তির অনন্য স্বীকৃতি। এটি বাঙালি জাতির জন্য এক সুমহান গৌরবের। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সারাবিশ্বকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সমানভাবে আলোড়িত করবে। আজ বিশ্ববাসির কাছে প্রতিয়মান হয়েছে, ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। কারণ এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি সমগ্র জাতিকে জাতীয় মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে যুগান্তকারি এই ভাষণ নিজেদের পাশাপাশি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে বিশ্ববাসির মধ্যে নতুন করে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করবে। মানবজাতির বিকাশের পথ-পরিক্রমায় স্বাধীনতাকামি জাতিকে এই ভাষণটি সর্বদা অনুপ্রাণিত করবে ও সাহস যোগাবেএবং তা যুগে যুগে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও সার্বিক মুক্তিসংগ্রামে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ভাষণটি নিপীড়িত মানুষকে দেখাবে মুক্তির পথ। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাঙালি জাতির নয়, বিশ্ববাসির জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।