একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আদালত কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিলে তা ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ হিসাবে গণ্য করার বিধান রেখে একটি আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল সোমববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন, ২০২২’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।
সচিবালয়ে এ বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকার প্রধান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরে সাংবাদিকদের বলেন, এ আইনের খসড়ায় পরিত্যক্ত সম্পত্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সরকারপ্রধানের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। এখন আইনে যে পরিবর্তন আসছে, সেই ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় কেউ অভিযুক্ত হলে, সেক্ষেত্রে কোর্ট যদি সম্পত্তি জব্দ করে দেয়, সেটাও পরিত্যক্ত সম্পত্তির মধ্যে পড়বে, যা আগে ছিল না। সচিব জানান, মন্ত্রী, সচিবসহ বড় বড় ব্যক্তিরা গুলশান-বনানীতে যেসব বাড়িতে থাকেন, তার বেশিরভাগই পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এসব সম্পত্তির দাম এখন অনেক বেড়ে গেছে।