ভাগ্যের দোষ, কর্মফল কিসের? উক্তি সঠিক, বিধাতা মানব জন্মের আগেই নিয়তি নির্ধারণ করে দেয়। প্রাণ মায়ায় সুস্থ, স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠতে সৃষ্টির সকলে চাই। মানবজাতির মেধা, বুদ্ধি, ব্যতিক্রম সৃজনশীল আর স্বার্থ পরায়নতা পৃথিবীতে পরিবর্তনের ছোঁয়া। ফলাফল শুভ–অশুভ শক্তি প্রতিয়মান। শিশু হোক বা ফুল কলি, শুরুতে পরিপূর্ণতা সৌন্দর্য লক্ষণীয়। কোমল আদর যত্নে বেড়ে, হয়ে ওঠে স্রষ্টার সেরা সৃষ্টি। যুগের ধাপ এগিয়ে জন্ম মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বিংশ শতাব্দী যুদ্ধ পৃথিবীতে আজ এক শিশুর জন্ম, ভয়ের কারণ। শত্রুতার জেরে যুদ্ধের দাবানলে ছয় মাসের শিশুটি তার বাবা মায়ের সাথে বহুতল ভবনে নিচ তলায় রাতে ঘুমে মগ্ন। হঠাৎ বিকট শব্দে লণ্ডভণ্ড ভবনে আর্তনাদে রক্তাক্ত শরীরের ছড়াছড়ি প্রাণহীন ভবনে উদ্ধারে বেঁচে যাওয়া অবুঝ শিশুটির ভোরে জ্ঞান এলে বুঝার উপায় নেই, রক্তাক্ত ছোট্ট শরীরে দুটি হাত বিচ্ছিন্ন, এক চোখ আঘাতে জর্জরিত। ব্যথা অনুভূতিহীন হাসপাতালে শুয়ে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে হারিয়ে যাওয়া বাবা মায়ের স্পর্শ ক্ষুধার্ত শিশুটির চাহিদা। ক্লান্তে ঘুমিয়ে পড়ার পরক্ষণেই অনুভব, অজানা স্থান পরিবর্তনে অচেনা মুখ। সবার প্রাণ ভয়ে ছুটাছুটি তাকে দেখার কেউ নেই। রাস্তার এক কোণে অবহেলায় থাকা নিয়তির পরিহাসে শিশুটির ভাগ্যে শত্রুর বারুদের আঘাত হয়তো কিছুক্ষণ পরে শেষ নিঃশ্বাস। যুদ্ধ ধরনীতে আজ শান্তিতে বাঁচার ঠিকানা কোথায়?