র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রে ল’ ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। খবর বাংলানিউজের।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদেরর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আমাদের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস খোঁজ-খবর নিচ্ছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ল’ ফার্ম নিয়োগ করার বিষয়েও আমরা ভাবছি।
গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি যাচাই হচ্ছে : পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পেতে যে চুক্তি করা হবে, সেটা বাছাই করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর অনুদান পাওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুদান দিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশও এই অনুদান পেয়ে আসছিল। এখন থেকে এই অনুদানের সব ধরনের তথ্য দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। একইসঙ্গে চুক্তিও করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তির অনুরোধ করেছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো ১৫ দিন সময় চেয়েছে। সে অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে।