যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে, আগের বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৯ জনে। ২০২৪ সালের ওপেন ডোর্স রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জের সূত্র ধরে গতকাল সোমবার এ তথ্য দিয়েছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চমকপ্রদ এ সংখ্যা বৃদ্ধি বাংলাদেশকে এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানো দেশের তালিকায় ত্রয়োদশ থেকে অষ্টম স্থানে নিয়ে এসেছে। খবর বিডিনিউজের।
ওপেন ডোর্স রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ুয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫৬৩ জন। এ হিসাবে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এর আগে ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৫৯৭ জন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলছে, গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা আড়াইশ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৩–১৪ শিক্ষাবর্ষে যেখানে এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮০২ জন, ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৯ জনে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন প্রতি বছর এ ওপেন ডোর্স রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রি–অ্যাকাডেমিক ইন্টেনসিভ ইংলিশ প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির তথ্য তুলে ধরা হয়। ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ড ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৯০ জনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ শতাংশ বেড়ে ৫ লাখ ২ হাজার ২৯১ জনে পৌঁছেছে এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ ২২ শতাংশ বেড়েছে।
কমিউনিটি কলেজগুলোতেও ছাত্র সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার তথ্য মিলেছে, যেখানে ভর্তির সংখ্যা ১৩ শতাংশ বেড়ে ৫৯ হাজার ৩১৫ জনে পৌঁছেছে। গত ২৫ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির ঘটনা। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং ৩ লাখ ৬৮ হাজার টিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স।