যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার লড়াই থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। গত শনিবার বিকালে তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, এটা আমার সময় নয়। আমরা সবসময়ই জানতাম লড়াইয়ে চড়াই–উৎরাই থাকবে। কিন্তু আমার কোনো দুঃখ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী তালিকায় বড় নামের একজন ছিলেন মাইক পেন্স। নির্বাচনী প্রচারের এখনো যে অবস্থা তাতে তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি জানায়, সামপ্রতিক জনমত জরিপগুলোতে পেন্স ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
রিপাবলিকান ভোটারদের সমর্থন পেতে লড়াই করতে হচ্ছিল তাকে। তাছাড়া, ভোটের প্রচারের জন্য পেন্সকে বড় অংকের ঋণ নিতে হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত তার বকেয়া ছয় লাখ ২১ হাজার মার্কিন ডলার। যেখানে তার ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল মাত্র ১২ লাখ মার্কিন ডলার। অন্যান্য রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। সমর্থকদের উদ্দেশে লিখিত বিবৃতিতে পেন্স আরো বলেন, আমি ভোটের প্রচার ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু আমি কখনোই রক্ষণশীলদের মূল্যবোধের জন্য লড়াই ছাড়বো না। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল দাঙ্গার সময় সরাসরি ট্রাম্পের বিরোধিতা করে রিপাবলিকান ভোটারদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন পেন্স। ট্রাম্প সেদিন তার ভাইস প্রেসিডেন্টকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর ভোটে জয়ের ফলাফলকে বাতিল ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কিন্তু পেন্স সে আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় ট্রাম্প সাহসের অভাব রয়েছে বলে তার সমালোচনা করেছিলেন। সেদিনে ক্যাপিটলে ট্রাম্পের পক্ষে দাঙ্গায় অংশ নেওয়া অনেকে মাইক পেন্সের ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দিয়েছিল। তারপর থেকে ট্রাম্পের অনেক অন্ধ সমর্থক পেন্সকে বিশ্বাসঘাতক বলে মনে করেন। নিজে সরে দাঁড়ালেও অন্য কোনো রিপাবলিকান পদপ্রার্থীর পক্ষে নিজের সমর্থনের বিষয়ে কিছু বলেননি পেন্স।