প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক শীর্ষ দূত জানিয়েছেন, আসছে মাসগুলোতে কিয়েভ যদি রাশিয়ার সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে তবে ইউক্রেন সম্ভব হলে চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন করবে, এমনটি চায় যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিডিনিউজের।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য নিযুক্ত ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কিলোগ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে স্থগিত থাকা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন করা দরকার। কিলোগ বলেন, অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশই তাদের যুদ্ধের সময়েই নির্বাচন করে। আমি মনে করি, তাদেরও এমন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি গণতন্ত্রের জন্য ভালো। এটি একটি বলিষ্ঠ গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। চলতি মাসে এই যুদ্ধের তিন বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প ও কিলোগ উভয়েই বলেছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন তারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত শেষ করতে তারা কী কৌশল নিচ্ছেন, সে বিষয়ে তেমন বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা, এ ধরনের একটি পরিকল্পনা কখন সামনে আনবেন তাও স্পষ্ট করে জানাননি। ট্রাম্পের পরিকল্পনা এখনও বিকশিত হচ্ছে এবং এ বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি, কিন্তু কিলোগ ও হোয়াইট হাউজের অন্য কর্মকর্তারা রাশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে একটি নির্বাচনে সম্মত হতে চাপ দেওয়া নিয়ে সমপ্রতি আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন আলোচনার বিষয়ে জানেন এমন দুই ব্যক্তি ও নির্বাচন প্রস্তাবের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এমন সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা। ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনার বিষয়ে জ্ঞাত ওই দুই ব্যক্তি জানান, আরও স্থায়ী একটি চুক্তির মধ্যস্থতার চেষ্টার আগে প্রাথমিক একটি যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক করছেন ট্রাম্পের কর্মকর্তারা।