যুক্তরাজ্যে আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন। প্রত্যাশিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের ফল কী হতে পারে এ নিয়ে নানা জরিপ ও অনুমান দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। ভোটের আগে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, স্বাস্থ্য, আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার ব্যয়, অভিবাসন, বৈদেশিক নীতি বিশেষ করে গাজা ও ইউক্রেন সংকটের মত বিষয়গুলো। জনমত জরিপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আর বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ পাঁচ নেতার অধীনে টানা এক দশকের বেশি সময় কনজারভেটিভদের শাসনের পর এবারের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। নির্বাচন ঘিরে এতদিন প্রচার চালিয়েছেন ৯৫টি দলের চার হাজারের বেশি প্রার্থী; এর মধ্যে স্বতন্ত্র ১১ জনসহ মোট ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী হয়েছেন।
একটি জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনে লেবার পার্টি রেকর্ড সংখ্যক আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে। সার্ভেশনের জরিপে বলা হয়েছে, ভোটে কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪৮৪টি আসনে জয় পাবে। এর আগে ১৯৯৭ সালে সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে লেবার পার্টি ৪১৮টি আসনে জয়ী হয়ে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছিল। এর বিপরীতে গত ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি) মাত্র ৬৪টি আসন পেতে পারে বলে অনুমান প্রকাশ করা হয়েছে। এটি হতে পারে ১৮৩৪ সালে রক্ষণশীল এই দলটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে পার্টি সাতটি আসন পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।