যারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে বিলাসি জীবনযাপন করেন তাদের মৃত্যুর পর প্রচলিত অনুষ্ঠান পর্যন্ত মানুষ তাদের স্মরণে রাখে। কিন্তু সমাজে যারা সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস চর্চাসহ সৃজনশীল করেন,সমাজকে আলোকিত করেন, তাঁরা মরেও অমর হন। তাদের সড়ক কিংবা স্কুল কলেজের নামকরণ হয়। প্রতিবছর তাদের স্মরণ করতে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান হয়। তেমনিভাবে পটিয়ার আলোকিত ব্যক্তিত্ব পুঁথি গবেষক মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট এএম মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর পটিয়া ক্লাবে সৃজনশীল সংগঠন মালঞ্চের উদ্যোগে সমপ্রতি প্রয়াত পুঁথি গবেষক মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কান্তি বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট এএম মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণ সভায় আলোচকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় তিন গুণী ব্যক্তির পরিবারের হাতে শোকস্মারক তুলে দেয়া হয়। এউপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। মালঞ্চ সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে আবদুর রহমান রুবেলের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী, প্রফেসর আবদুল আলীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখক সিরু বাঙালি, কবি সুজন বড়ুয়া,যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, খলিলুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব। স্মৃতিচারণ করেন মালঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কবি শিবুকান্তি দাশ, অ্যাডভোকেট শেখর নাথ পিন্টু, দৈনিক যুগান্তর চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছৈয়দ,আ.লীগ নেতা নাছির উদ্দীন, শৈবাল বড়ুয়া, অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু, সাংবাদিক হারুনুর রশীদ ছিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম,আইন কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট অনুপম নাথ, মাস্টার সন্তোষ বড়ুয়া,অধ্যাপক ভগীরথ দাশ, জান্নাতুল নাঈম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।