“যারা দায়ী তাদের তো কোনো বিচার হলো না”

আবরার হত্যাকাণ্ডের রায়ে আক্ষেপ অভিনেতা আবুল হায়াতের

| বুধবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আর বাকি পাঁচজনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ। এর মধ্যে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিন আসামি পলাতক।

এদিকে, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দ্রুততার সঙ্গে বিচার হওয়ার ব্যাপারটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বুয়েটের সাবেক ছাত্র, অভিনেতা, নাট্যকার ও লেখক আবুল হায়াত। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিলেন তিনি।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বললেন, “অপরাধীর শাস্তি হলে অন্য অপরাধীরা সাবধান হবে। এরপর কোনো অপরাধ করার আগে দশবার চিন্তা করবে। যখন দেখে যে বিচার হয় না তখন অপরাধীদের সাহস বেড়ে যায়। দ্রুততার সঙ্গে রায় হয়েছে, যা পজিটিভ সাইড।”

তারপরও আক্ষেপ প্রকাশ করে আবুল হায়াত বলেন, “খারাপ লাগছে এই ভেবে যে আবরার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটা পরিবারের আশা, ভরসা, স্বপ্ন-সব ধুয়ে মুছে চলে গেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও ২৫ জনের জীবন, তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে গেল। এটা সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার। কিন্তু জানতে চাই, এর জন্য দায়ী কারা? তাদের তো কোনো বিচার হলো না। কারা তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে এ ধরনের অপকর্ম করতে, অপরাধ করতে, সেটার তো কোনো ইনভেস্টিগেশনও হলো না।”

তিনি আরো বলেন, “এই ছেলেগুলো যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিল, বাবা-মায়ের স্বপ্ন নিয়েই এসেছিল। বাবা-মায়ের দুঃখ–কষ্ট যদি থেকেও থাকে, তারা সেখান থেকে তাদের আলো দেখাবে, এমন স্বপ্ন নিয়েই এসেছিল। তারা তো ক্রিমিনাল হিসেবে কেউ আসেনি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহলে তাদের ক্রিমিনাল বানাল কে? তাদের উদ্বুদ্ধ করল কে বা কারা এই ধরনের একটা নিকৃষ্টতম কাজ করতে, বীভৎসতম কাজ করতে। এসব প্রশ্নগুলো থেকে যাচ্ছে আরকি।”

আবুল হায়াত বলেন, “তারা কারা, কোন দলের লোক, এটা আমি জানি না, জানতে চাইও না। কথা হচ্ছে যে এটা যদি ইনভেস্টিগেট করা হতো, কোথাকার লোক, কার কাছ থেকে এ ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়েছে, তাহলে আমরা যথাযথভাবে বিষয়টা জানতে পারতাম। আমি বলতে চাই, শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা সন্তানতুল্য। সেই সম্পর্ক যখন ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে না থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি কোনো দিন ভালো হবে না। এখানে শিক্ষার্থীকে শাসনও করতে হবে, ভালোবাসতে হবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধহেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান সস্ত্রীক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধদুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে