এতদিন যারা নির্বাচন চেয়েছিল, তারা এখন ভিন্ন কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তারা প্রথমে গণভোটে রাজি ছিল না, পরে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনে সরকারকে বাধ্য করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকালে সিলেট নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইসলামাপন্থি ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন জামায়াত আমির। খবর বিডিনিউজের।
কোনো দলের নাম না বলেই শফিকুর রহমান বলেন, এতদিন যারা নির্বাচন চাই বলে–বলে জনগণকে পাগল করে তুলেছিল, তারা এখন ভিন্নসুরে কথা বলছে। এ লক্ষণ ভালো নয়। তারা হয়ত বুঝতে পেরেছে, তারা যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করেছে জনগণ তাদরকে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায় বিএনপি। তবে শুরুতে গণভোটের বিরোধিতা করেছিল দলটি। বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, বিদ্যমান সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। আগামী সংসদে বিধান যোগ করার পরেই কেবল গণভোট আয়োজন করা সম্ভব। পরে অবস্থান পরিবর্তন করে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একইদিনে গণভোট দাবি করে বিএনপি। তবে জামায়াতসহ তার মিত্র দলগুলো গণভোট আগে করার দাবিতে রাস্তায় নামে। ইতোমধ্যে সরকার জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে একসঙ্গে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে, যা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসাপাতালে বেশ কয়েদিন ধরে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে দলের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা বলেছেন, নির্বাচন ঘোষিত সময়ে হোক, তফসিল ঘোষণায় যেন দেরি না হয়।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, দফায় দফায় এতো রক্ত, এতো ত্যাগের পর দেশবাসী কি আশা করেছিল। দেশবাসী আশা করেছিল, অতীতের অপকর্মের পরিণতির শিক্ষা নিয়ে রাজনীতিবিদরা নতুন রাজনীতি শুরু করবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি একদল সেই পুরাতন ধারায় পড়ে আছে। তারা কোনো সংস্কারে রাজি না, তারা সনদ বাস্তবায়ন রাজি না। তারা গণভোটে প্রথমে রাজি ছিল না পরে ধাক্কাইয়া–ধুক্কাইয়া সেই গণভোট একদিনেই হতে হবে বলে সরকারকে বাধ্য করেছে।









