যাত্রীতে ভরপুর বাস-ট্রেন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ জুলাই, ২০২১ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অর্ধেক আসনে চলছে প্রতিটি ট্রেন। অর্ধেক আসনের সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১২ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। প্রতিটি ট্রেন যাত্রীতে ভরপুর। একই অবস্থা আন্তঃজেলা বাসের ক্ষেত্রেও। বাসগুলোতে কোনো সিট খালি নেই। ট্রেনের মতো বাসস্টেশনগুলোতেও যাত্রীদের ভিড়। অনেকেই টিকিট ছাড়া রেলস্টেশনে চলে আসছেন। সিট খালি থাকলে টিটিইর মাধ্যমে ট্রেনে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর কদমতলী বাসস্টেশন, বিআরটিসি বাসস্টেশন, দামপাড়ার গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট এলাকা, কর্নেলহাট-অলংকার মোড়ে আন্তঃজেলা বাসস্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড়। প্রতিটি বাস যাত্রীতে ভরপুর। অনেকেই বাসের টিকিট পাচ্ছেন না। টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন। অনেকের অভিযোগ, বাড়তি টাকা দিলে বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, অর্ধেক আসনের মধ্যে কোনো আসনই ফাঁকা নেই। রেল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনে প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করলেও যাত্রীদের মধ্যে এই ব্যাপারে তেমন সচতনতা দেখা যায়নি। তাড়াহুড়ো করে যে যার মতো ট্রেনে ওঠার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
চট্টগ্রাম স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, সুবর্ণ এক্সপ্রেসের অর্ধেক আসন ৪৫০টির মধ্যে সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়েছে। বিজয় এক্সপ্রেসের অর্ধেক আসনের ৩৩১টির মধ্যে সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়েছে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের অর্ধেক আসনের ৩২৭টির মধ্যে ৩২৬টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। মহানগর গোধূলীর অর্ধেক ৩৫৯টি আসনের মধ্যে শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের অর্ধেক ২৯৭টি আসনের মধ্যে সবক’টি বিক্রি হয়ে গেছে। মেঘনা এক্সপ্রেসের অর্ধেক ৪৬৫ আসনের সবক’টি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অর্ধেক আসনে সারা দেশে আন্তঃনগর ও মেইল কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে। চট্টগ্রাম থেকে যেসব আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে সেগুলো হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলী/তুর্ণা ও মহানগর প্রভাতী/তুর্ণা, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস। মেইল ট্রেনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল ও কর্ণফুলী কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা কমিউটার, চট্টগ্রাম-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রুটে ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে।
আগামী ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদের আগে যাতে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারেন এজন্য ট্রেন ও বাস চলাচলের সুযোগ দিয়েছে সরকার। তবে ঈদের দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। যারা বাড়ি যাবেন তাদেরকে ঈদের পর দিন ২২ জুলাই ফিরে আসতে হবে।
৫ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে। আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট একসঙ্গে অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। কাউন্টারে কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। এবার করোনার কারণে আন্তঃনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু বন্ধ রয়েছে। তবে যারা টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে যাচ্ছেন তাদেরকে ট্রেনে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাণের জোয়ার বইছে দেখ সিআরবির বুকে
পরবর্তী নিবন্ধদা-বটির বাজার চড়া