পটিয়ায় যাত্রী সেজে চালককে পিছন থেকে গলায় বেল্ট দিয়ে পেঁচিয়ে সিএনজি টেক্সি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে জনতার হাতে আটক হয়েছেন মো. হারুন প্রকাশ সাগর (৩০) নামে এক পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটিয়া বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ভাটিখাইন ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক সাগর উপজেলার কথাকচুয়াই পাঠানপাড়া এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, তার সঙ্গে থাকা আরও ২–৩ জন সহযোগী পালিয়ে গেছে।
জানা যায়, শয়ন মজুমদার নামে এক সিএনজি টেক্সি মালিক গত এক মাস ধরে তার মা অসুস্থ থাকার কারণে পরিচিত চালক মো. আমির হোসেনের কাছে দৈনিক ২৫০ টাকায় টেক্সিটি দেন। সোমবার দুপুরে চালক আমির হোসেন গাড়িটি নিয়ে ভাড়ায় বের হন। দুপুর ১টার দিকে পটিয়া পোস্ট অফিসের সামনে যাত্রী সেজে ছিনতাইকারী সাগর টেক্সিতে ওঠেন। প্রথমে বাইপাস যাওয়ার কথা বললেও পরে সাগর সারাদিন ঘোরাঘুরির জন্য ৮০০ টাকা ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখান। রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নির্জন এলাকায় পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার সহযোগীরা অটোরিকশার সামনের পথ বাধাগ্রস্ত করে। এ সময় সাগর পিছনের সিট থেকে চালকের গলায় কোমরের বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ ও মারধর করে সিএনজি টেঙিটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান।
এ সময় চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাস্থল থেকে সাগরকে গাড়িসহ আটক করে। উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক সাগরকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে এবং টেঙিটি জব্দ করে। পরে চালক ও আটককৃতকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর গাড়ির মালিক শয়ন মজুমদার বাদী হয়ে সোমবার রাতে পটিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, পালিয়ে যাওয়া ছিনতাই চক্রের সহযোগীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।












