যাত্রামোহন সেনগুপ্তের বাড়ি অবৈধ দখলের কবল থেকে রক্ষা করে এটিকে স্মৃতি যাদুঘর করার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে পিপলস ভয়েস এবং চট্টগ্রাম বিপ্লব ও বিপ্লবী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, রহমতগঞ্জের বাড়িসহ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর জমি অধিগ্রহণ করে সংরক্ষণ ও যাদুঘর করতে হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যাত্রামোহন সেনগুপ্তের পরিবারের সদস্যরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। চট্টগ্রামের শিক্ষার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছিলেন। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশের ঐতিহাসিক অনেক স্থাপনা বেদখল হচ্ছে। এগুলো সংরক্ষণে সরকার, প্রশাসনের যেন কিছু করার নেই। কোনো একটা ঘটনা ঘটলে সবাই নড়েচড়ে বসে। এভাবে চলতে পারে না। সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও উপমহাদেশের রাজনৈতিক স্মৃতি সংরক্ষণের দাবিও জানান। পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরিফ চৌহানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অশোক সাহা, সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক হোসাইন কবীর, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হাসান, সাংস্কৃতিক সংগঠক সুনীল ধর, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ রুদ্র ও ও সাংবাদিক প্রীতম দাশ।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার : যাত্রামোহন সেন গুপ্তের বাড়ি ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার। ভবনটি সংরক্ষণের আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ফজলে ইমরান চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি এই ভবনটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অংশ এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে চট্টগ্রামে অবস্থিত সমস্ত ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’